ভারতের আসাম রাজ্যের পশ্চিম কার্বি আংলং জেলার খেরনি এলাকায় নতুন করে সহিংসতা দমন শুরু হয়েছে, যেখানে দুজন নিহত হয়েছে। গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এইখেরনি এলাকাটি এ সপ্তাহের শুরু থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন বিক্ষোভকারীরা দোকানপাট ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা, পাথর ও তীর ছোঁড়ার মতো উগ্র প্রদর্শনী চালাচ্ছে। পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় রাজ্য সরকার সেনা মোতায়েন করেছে যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। এই খবর নিশ্চিত করেছে দ্য হিন্দু সংবাদমাধ্যম।
বিবরণে জানা গেছে, এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় এ সপ্তাহের শুরুর দিকে, বিশেষ করে উপজাতি এলাকায়। সপ্তাহের মাঝামাঝি তার রূপ মহামারীতে পরিণত হয়। কার্বি জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে সরকারের দু’টি জমি-ভিলেজ গ্রেজিং রিজার্ভ (ভিজিআর) ও প্রফেশনাল গ্রেজিং রিজার্ভ (পিজিআর) থেকে ‘বহিরাগতদের’ উচ্ছেদ করার দাবির জের ধরে এই সহিংসতা ছড়ায়। এ পরিস্থিতিতে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস)-এর ১৬৩ ধারা অনুযায়ী কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও, বিক্ষোভকারীরা তা অমান্য করে সহিংসতা চালিয়ে যায়।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক এবং বেদনাদায়ক বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, শান্তি বজায় রাখতে বুধবার খেরনি এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে একজন আদিবাসী বিক্ষোভকারী, যিনি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে পরে মারা যান। অপরজন ছিলেন একজন অ-আদিবাসী প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, যিনি অগ্নিসংযোগের সময় একটি ভবনের ভেতরে আটকা পড়ে দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসাম সরকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে, যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানো যায়।
Leave a Reply